Thursday, July 24, 2014

*** সম্ভবত আমরাই প্রথম ই-কমার্স নেটওয়ার্ক তৈরি করতে চলেছি ***

মূলত এটা একটা ভার্চুয়াল বিজনেস প্ল্যাটফর্ম সহজ ভাবে বলতে গেলে একটা ওয়েবসাইট যেখানে ঢাকার জনপ্রিয় মার্কেট গুলো থেকে অনাইলনে কেনাকাটা করার সুযোগ থাকবে পাশাপাশি বিভিন্ন ব্র্যান্ড, এফ-কমার্স (ফেইসবুক পেইজ এর মাধ্যমে পরিচালিত প্রোজেক্ট) এবং ব্যাক্তিগত পণ্য ক্রয়-বিক্রয় এর জন্য ক্লাসিফাইড অ্যাড সার্ভিস থাকবে।   

যদি শুধু মাত্র ঢাকার বিপণি-বিতান গুলোর কথাই বলি, বর্তমানে মার্কেটগুলো সপ্তাহে ৬ দিন এবং প্রতিদিন ৮-১০ ঘণ্টা ক্রেতা সাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকে এবং দুর্ভাগ্যবশত শুধু মাত্র ঢাকাতে অবস্থানকারী এক জন ক্রেতাই এই মার্কেট গুলো থেকে পণ্য ক্রয় করার সুবিধা লাভ করেন। আবার প্রতিদিন যে পরিমাণ ক্রেতা একটি দোকান কিংবা শোরুম এ ভীড় করে তাদের মধ্য থেকে সবাই কিন্তু পণ্য ক্রয় করে না। এদের মধ্যে অনেকেই থাকেন যারা নিদিষ্ট পণ্যটি সম্পর্কে জানতে বা দেখতে আসেন।  

অনলাইন বিজনেস প্ল্যাটফর্ম এ যুক্ত হবার কারণে বিপণী-বিতান গুলো সপ্তাহে ৭ দিন আর দিনে ২৪ ঘণ্টা ক্রেতা সাধারণের জন্য উন্মক্ত থাকবে, শুধু তাই নয় সারা বাংলাদেশের মানুষ এই সব বিপনি-বিতান থেকে কেনাকাটা করার সুযোগ পাবে। অর্থাৎ এখন সিলেট কিংবা রাজশাহীতে বসেও বসুন্ধারাসিটি কিংবা যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে কেনাকাটা করার সুযোগ তৈরি হবে এবং অন্যদিকে বসুন্ধারাসিটি কিংবা যমুনা ফিউচার পার্ক এ অবস্থিত একটি দোকান বা শোরুম সারা দেশব্যাপী ব্যাবসা পরিচালনা করতে পারবে।  

এবার আসা যাক এফ-কমার্স এবং ই-কমার্স নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের কথায়। দিন দিন ই-কমার্স এর সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলছে এফ-কমার্স প্রোজেক্ট এর সংখ্যা। কিন্তু শুধু মাত্র ফেইসবুকে  একটা পেইজ কিংবা শুধু একটি ওয়েবসাইট তৈরি করলেইতো আর সফল হওয়া যায় না। আবার শুধু মাত্র ভালো পণ্য সরবরাহ করলেও ব্যাবসা হবে না , ব্যাবসা তখনই হবে যখন প্রতিযোগিতা থাকবে ক্রেতা থাকবে এবং পণ্য গ্রহণের জন্য ভোক্তার চাহিদা থাকবে। আর তার জন্য প্রয়োজন সঠিক বিপনন পরিকল্পনা। ব্যাক্তিগত পর্যায়ে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে অনেকেই এফ-কমার্স এবং ই-কমার্স কে বেঁছে নিচ্ছেন । অনলাইন ভিত্তিক এই বিপনন ব্যাবস্থা অল্প সময়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠার মূল কারণ হল স্বল্প পুঁজিতে যেকেউ ই-কমার্স কিংবা এফ-কমার্স প্রোজেক্ট পরিচালনা করতে পারেন ,যেখানে কিনা গতানুগতিক রীতিনীতি অনুসরণ করে একটি দোকান বা শোরুম নিতে হলে প্রথমেই লাখ টাকার হিসাবনিকাশ করতে হয়।

অনলাইন বিজনেস প্ল্যাটফর্ম এ যুক্ত হবার কারণে ই-কমার্স এবং এফ-কমার্স প্রোজেক্ট গুলো নামীদামী বিপনিবিতান গুলোর সাথে একই সারিতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে। সেই সাথে সারা দেশব্যাপী পণ্য বিপণন এবং নিজস্ব ইউআরএল ব্যাবহার করে ই-স্টোর ব্যাবহারের সুবিধা ও পাওয়া যাবে।       

সাইটটি এখনও নির্মাণাধীন অবস্থায় আছে। আশা করছি এই বছরের শেষ নাগাত এটি পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে।

সাইট লিঙ্ক


এই প্রোজেক্ট সম্পর্কে সকলের গুরুত্বপূর্ণ মতবাদ আশা করছি ।  

Monday, July 14, 2014

প্রচারেই প্রসার ,সম্ভাবনাময় ডিজিটাল মার্কেটিং

প্রচারেই প্রসারব্যাবসা করতে হলে কথাটি মনে প্রাণে মানতেই হবে। না মানলে লোকসান যেটা হবে তা হল, আপনি আপনার জায়গাতেই থাকবেন কিন্তু বাকি সবাই আপনাকে ছেঁড়ে অনেকদূর এগিয়ে যাবে। ফলাফল কেউ না কেউ খুব সহজেই আপনার মার্কেট পজিশনটা নিজের করে নিবে এবং আপনার কাস্টমাররা খুব তাড়াতাড়ি আপনাকে ভুলে যাবে। 

বড় বড় কোম্পানি গুলো মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে অনেক বেশী গুরুত্ব দিলেও সাধারণ উদ্যোক্তার জন্য ব্যাপারটা বেশ কষ্টসাধ্য। যার অন্যতম মূল কারণ বাজেট স্বল্পতা কিন্তু তার মানে এটা ভাবা কখনই ঠিক হবেনা যে, বড় বড় কোম্পানি যেখানে পারেনি অথবা সফল হয়নি সেখানে আপনি কিভাবে পারবেন আর মার্কেটিংএ অদক্ষতার জন্য যদি কোন প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় সেটার জন্য অবশ্যই সেই প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট দায়ী কারণ তারা দায়িত্ব পালনে অদক্ষ।        

বর্তমান সময়ে কোন ব্যাবসা কে প্রোমট করার জন্য অথবা ব্র্যান্ডিং করার জন্য কেউ যদি গতানুগতিক মার্কেটিং পদ্ধতি অনুসরণ করতে চায় তবে নিঃসন্দেহে অনেক বেশী ব্যায় বহুল আর এই ব্যায় নিয়ন্ত্রন করে আরও বেশী কার্যকর মার্কেটিং ব্যাবস্থার নাম “ডিজিটাল মার্কেটিং”। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে যদি লিখতে যাই তবে নির্ঘাত ছোটখাট একটা বই হয়ে যাবে, তাই খুব সংক্ষেপেই একটু বলি, ব্যাস্ততম সড়কের মোড়ে অথবা ট্রাফিক সিগন্যালে বিশাল আকার বিজ্ঞাপন শূন্য বিলবোর্ড গুলো নিশ্চয়ই দেখেছেন একসময় বিলবোর্ডের রমরমা ব্যাবসা থাকলেও ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনপ্রিয়টার জন্য বিলবোর্ড ব্যাবসায়ীদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে (যদিও এটা সাময়িক)। অন্যদিকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (ডিজিটাল মার্কেটিং এর পার্ট)। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর জনপ্রিয় একটা প্ল্যাটফর্ম এর নাম ফেসবুক। শুধু মাত্র অনলাইন এ বসে ৫০,০০,০০০ বাংলাদেশীর সামনে নিজের ব্র্যান্ড মার্কেটিং এর সুযোগ একমাত্র ফেসবুকই দেয় এবং টার্গেট কাস্টমারের একদম চোখের সামনে গিয়ে নিজের ব্র্যান্ড প্রোমট করার সুযোগটাও কিন্তু সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কল্যাণেই।

সম্ভাবনা আছে বলেই ই-কমার্স বিজনেস এর শুরুটা হয়েছে এবং ই-কমার্স নিয়ে সবার উৎসাহ দিন দিন বেড়েই চলছে কিন্তু সমস্যা একটাই সঠিক গাইড লাইন দেয়ার মত তেমন কেউ নেই তাই বলে এটা ভাবা মোটেও ঠিক হবেনা যে সব ই-কমার্স প্রোজেক্ট থেকেই খুবই সামান্য পরিমাণ প্রফিট আসে। নিজস্ব আইটি সাপোর্ট, মার্কেট স্টাডি করার মনোভাব, ডেলিভেরি সার্ভিস আর কিছুটা মার্কেটিং জ্ঞান থাকলে প্রতি মাসে ৪০,০০০ -৪৫,০০০ টাকা প্রতি মাসে ইনকাম করা খুব একটা দুঃসাধ্য ব্যাপার মোটেও না (না জেনে মোটেও বলছি না)। টি-শার্ট কিনতে চাইলে মাথায় যেমন বিক্রয়.কম এর কথা আসবেনা তেমনি বাসার পুরনো ফার্নিচার বিক্রি করার জন্যও নিউমার্কেট এর কথা মাথায় আসবেনা। এর নাম ব্র্যান্ড পজিশনিং। ১৬,০০,০০,০০০ কোটি জনসংখ্যার ৩.৫% মানুষও যদি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হয়ে থাকে তাহলে ইন্টারনেট বাবহারকারীর সংখ্যা হয় ৫৬,০০,০০০। তারপরও যদি কেউ মনে করেন স্যাম্পল সাইজ মার্কেটিং এর জন্য যথেষ্ট না এবং ডোর টু ডোর মার্কেটিং এর মাধ্যমে আরও বেশী কাস্টমার পাওয়া সম্ভব, সেটা একান্তই তার নিজস্ব মতবাদ। ডোর টু ডোর মার্কেটিং সফল তখনই হবে যখন কিনা আপনার কথা শোনার জন্য ক্লায়েন্ট যথেষ্ট সময় দেবেন এবং নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট এর জন্য ক্লায়েন্টের চাহিদা থাকবে। তার আগে আরেকটা ব্যাপার কাজ করে তা হল আপনার ব্র্যান্ড ইমেজ। আপনার কোম্পানির সেলস পারসনের যদি প্রথমে ক্লায়েন্টের কাছে বোঝাতে হয় যে “আমি অমুক কোম্পানি থেকে এসেছি, এই আমাদের প্রোডাক্ট ... ... ইত্যাদি ইত্যাদি ” ক্লায়েন্ট এমনিতেই বিরক্ত হয়ে যাবে। কারণ আপনি যাদের ক্লায়েন্ট ভেবে সেলস পারসনদের পাঠাচ্ছেন, আরও ৫ টা প্রতিষ্ঠানও ঠিক একই ভাবে একই ক্লায়েন্টের কাছে প্রোডাক্ট সেলস করার জন্য বিক্রয় প্রতিনিধি পাঠাবে এবং ক্লায়েন্ট তার প্রোডাক্টই কিনবে যার নাম টা বেশী পরিচিত যাকে আমরা বলি “ব্র্যান্ড ইমেজ”।


একটা শক্তিশালী মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার জন্য তৈরি করা যেতে পারে একটা কমন ওয়েব বেইজ প্ল্যাটফর্ম। সহজ কথায় একটা ওয়েবসাইট যেখানে প্রতিটা ই-কমার্স প্রোজেক্ট এবং ফেসবুক পেজ এর নিজস্ব ই-ষ্টোর থাকবে পাশাপাশি সব ধরণের প্রোডাক্ট নিয়ে ই-ষ্টোর খোলার সুযোগ থাকবে এবং কমার্শিয়াল অ্যাড এর জন্য প্রচুর স্থান থাকবে। প্রোডাক্ট/ ই-ষ্টোর প্রমোশনের জন্য বিভিন্নও রকম ফিচার অ্যাড এর ব্যাবস্থা থাকবে। সকলে মিলে যদি ওয়েবসাইট এর জন্য প্রমোশনের জন্য কাজ করা যায় তাহলে অনেক বড় ধরণের মার্কেটিং করা সম্ভব আর সাইট এর মার্কেটিং মানেই আপনার ই-ষ্টোর প্রমোট করার সুযোগ অন্যদিকে ভিজিটরও এক ওয়েব সাইটে সব ধরণের ই-ষ্টোর পেয়ে যাবে সে নিজেও চাইবেনা অন্য কোথাও ভিজিট করতে। অনেকটাই সুপার সপ এর বিজনেস এর মত এক ছাদের নীচেই যখন সব পাওয়া যাবে তখন কষ্ট করে কেন ভিন্ন ভিন্ন ষ্টোরে যাবেন। 

Sunday, July 13, 2014

***** ই-কমার্স এর জন্য কিছু মার্কেটিং টিপস *****

·         আপনার সাইট মার্কেটিং করলে ভিজিটর আসবে এটাই স্বাভাবিক , কিন্তু ভিজিটর আসলেই যে আপনি সেলস পাবেন এমনটা ভাবা ঠিক না। বাংলালিঙ্ক কিংবা গ্রামীণ ফোনের টিভি অ্যাড গুলো নিশ্চয় দেখেছেন এবং হয়তো আপনার ভালোও লেগেছে কিন্তু এই ভালো লাগা থেকে কি আপনি আপনার পুরনো সিম কার্ডটি পরিবর্তন করে বাংলালিঙ্ক বা গ্রামীণ সংযোগ ব্যাবহার করছেন ? আপনি আপনারন সিম কার্ডটি শুধু মাত্র তখনই পরিবর্তন করবেন যখন কিনা প্রয়োজন অনুভব করবেন।

·         মার্কেটিং প্ল্যানটি ধাপে ধাপে সাজিয়ে নিন।
যেমনঃ আপনার মার্কেটিং অবজেক্টিভ কি? সাইটের পরিচিতি বাড়ানো , নাকি পণ্য সেল করা নাকি নিজস্ব ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি করা ।এই অবজেক্টিভ অর্জন করতে হলে আপনার কি ধরণের প্রোমোশন প্রয়োজন, এই প্রোমোশন এর জন্য কি পরিমাণ বাজেট প্রয়োজন ইত্যাদি।

·         ভিজিটর এঙ্গেজমেন্ট
কনটেন্ট হল একটা সাইটের প্রাণ । আপনার প্রোডাক্ট এমন ভাবে উপস্থাপন করুণ যাতে করে ভিজিটর সেটি দেখতে আগ্রহী বোধ করে। অনলাইন পণ্য বিক্রির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আপনার সম্ভাব্য ক্রেতা যদি পণ্যর বিজ্ঞাপন দেখে একবার পছন্দ করে ফেলেন তাহলে সেল মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া যায়।

·         রিপিট ভিজিটর নিশ্চিত করুণ।
মনে রাখবেন মার্কেটিং করলে ভিজিটর পেয়ে যাবেন কিন্তু এই ভিজিটর পুনরায় কেন আপনার সাইট ভিজিট করবে সে কথা মাথায় রেখে সাইটে নিয়মিত নতুনত্ব আনার চেষ্টা করুণ। যেমন, সেটা হতে পারে পণ্যের ভিন্নতা কিংবা সপ্তাহে যেকোনো একদিন বিশেষ মূল্য ছাড় ইত্যাদি। তাতে করে ভিজিটর আপনার সাইটের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে এবং নিয়মিত সাইট ভিজিট করবে।