Saturday, October 22, 2016

অনলাইনে পেমেন্ট করা কি নিরাপদ ?

একটু সচেতনার অভাবে অনেকেই অনলাইনে পেমেন্ট করা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেন। কিন্তু বাস্তব চিত্র একদমই উল্টো। নগত অর্থ লেনদেন থেকে হাজার গুণ নিরাপদ লেনদেনর মাধ্যম হল এই “অনলাইন পেমেন্ট”।
প্রথমত, এখন পর্যন্ত অনেকেই মনে করেন শুধু মাত্র ক্রেডিট কার্ড দিয়েই অনলাইনে পেমেন্ট করা যায়, কিন্তু বাস্তবতা হল আপনি যেকোন ব্যাংকের ভিসা, মাস্টার কিংবা আমেরিকান একপ্রেস ডেবিট কার্ড দিয়েও অনলাইনে পেমেন্ট করতে পারবেন। জীহ্যাঁ, শুধু মাত্র ক্রেডিট কার্ড নয়, যেকোন ডেবিট কার্ড দিয়েও অনলাইনে পেমেন্ট করা যায় তবে অনলাইনে পেমেন্ট করার আগে অবশ্যই জেনে নিতে হবে আপনার কার্ডটি অনলাইনে লেনদেন করার জন্য একটিভেট আছে কিনা। কিছু কিছু ব্যাংকের কার্ড, অনলাইনে পেমেন্ট করার জন্য আলাদা ভাবে একটিভেট করার প্রয়োজন হয় না। যেমন, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার, এনারবি ব্যাংক ইত্যাদি। এই ব্যাংক গুলোর ইস্যু করা সব ধরনের কার্ড দিয়ে সরাসরি অনলাইনে পেমেন্ট করা যায়। উক্ত ব্যাংক গুলো ছাড়াও অন্যান্য ব্যাংকের কার্ড দিয়েও অনলাইনে লেনদেন করা যায়, তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই ইস্যুয়ার ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে আপনার কার্ডটি অনলাইনে লেনদেন করার জন্য একটিভেট করে নিতে হবে(ইস্যুয়ার ব্যাংক হল সেই ব্যাংক যার ইস্যু করা কার্ডটি আপনি অনলাইনে লেনদেন করার জন্য ব্যবহার করতে যাচ্ছেন)
কোন ওয়েবসাইট থেকে পণ্য কিনে অনলাইনে কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করার ক্ষেত্রে লেনদেনটি সবসময় ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। একটু ভালো ভাবে খেয়াল করলেই দেখবেন আপনি যে পেজটিতে কার্ড নাম্বার টাইপ করছেন সেটি আসলে ব্যাংকেরই একটি পেইজ। মূলত কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করে আপনি যা করছেন সেটা হল, আপনি আপনার নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকেই বিক্রেতাকে পণ্যের মূল্য পরিশোধ করছেন এবং যেহেতু লেনদেনটি সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পাদিত হচ্ছে তাই এটি ১০০ ভাগ নিরাপদ।
বিভিন্ন দোকান কিংবা শোরুমে আমরা যে POS মেশিন দেখি , অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমটিও প্রায় একই ভাবে কাজ করে। পেমেন্ট গেটওয়ে কোম্পানি গুলো মূলত একটা হাব হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট পেইজে সকল ধরনের পেমেন্ট মডিউল একত্রে সংযুক্ত করে যাতে করে একজন ক্রেতা একটি মাত্র পেজের মাধ্যমেই বিভিন্ন ব্যাংক,ইন্টারনেট ব্যাংকিং কিংবা মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে পণ্যের মূল্য পরিশোধ করতে পারে।
অনলাইনে লেনদেন করা যায় এমন কার্ড গুলো সাধারনত 3D Secured হয়, অর্থাৎ প্রতিবার লেনদেন করার সময় OTP (one time password) জেনারেট হয় OTP হল সেই কোড নাম্বার যা কিনা অনলাইনে লেনদেন করার সময় গ্রাহক তার মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে পেয়ে থাকেন এবং শুধু মাত্র OTP দিলেই আপনার লেনদেনটি সম্পাদিত হবে অর্থাৎ শুধু মাত্র আপনি ছাড়া অন্য কেউ কোন ভাবেই আপনার কার্ডটি ব্যবহার করে অনলাইনে লেনদেন করতে পারবে না এমন কি কেউ যদি আপনার কার্ড নাম্বার কিংবা CVP কোডটিও জেনে যায় তারপরও এসএসএমের মাধ্যমে আপনার মোবাইল ফোনে যাওয়া OTP ছাড়া কোন ভাবেই লেনদেন করতে পারবেনা।
একটা বিষয় নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান উদাহারন স্বরূপ বলা যায়, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার এর ভিসা কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করতে গিয়ে দেখলেন যে সিটি/ব্রাক/ইবিএল বা ডাচ বাংলা ব্যাংক পেইজে পেমেন্ট করতে বলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই কারন এই পেইজে যেকোন ব্যাংকের ভিসা কার্ড থেকে পেমেন্ট করা যায়। অনলাইন লেনদেনর সর্বশেষ আপডেট হল ,
বর্তমানে EMI এর মাধ্যমে বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট থেকে পণ্য কেনা যায়। কিন্তু এই ক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে শুধু মাত্র ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেই EMI সুবিধায় পণ্য কেনা যায়। ডেবিট কার্ড এর জন্য EMI সুবিধা প্রযোজ্য নয়।
আরেকটি কথাটি না বললেই না, তা হল প্রোডাক্ট সিলেক্ট করার পর পেমেন্ট গেটওয়ে পেইজ থেকে কার্ড নাম্বার দেয়া, OTP দেয়া ইত্যাদি স্টেপ গুলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করতে হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই টাইম লিমিট হল ২০ মিনিট। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যেই আপনার লেনদেনটি সম্পন্ন করতে হবে নতুবা সেশনটি এক্সপায়ার্ড হয়ে যাবে এবং পুনরায় , সেই স্টেপ গুলো ফলো করতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এমন পরিস্থিতিতে কার্ড হোল্ডার মনে করেন ই-কমার্স সাইটটিতে সমস্যা এবং ই-কমার্স সাইটের ইনচার্জ মনে করেন পেমেন্ট গেটওয়েতে সমস্যা। কিন্তু সমস্যা আসলে কোথাওইনা, কারন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পেমেন্ট প্রসেস কমপ্লিট করে ফেললে এরকম কোন সমস্যার সৃষ্টি হয় না।
শেষ কথা হল, অনলাইন লেনদেন, ব্যাংকের মাধ্যমে করা লেনদেনের মতই নিরাপদ এবং POS মেশিন যেভাবে কাজ করে অনলাইন লেনদেন প্রসেসটা অনেকটা একই ভাবেই কাজ করে। নিশ্চিন্তে অনলাইনে কেনাকাটা করুন এবং ই-কমার্সকে এগিয়ে নিতে সচেতনতা তৈরি করুন।


অনলাইনে পেমেন্ট করা কি নিরাপদ ?

একটু সচেতনার অভাবে অনেকেই অনলাইনে পেমেন্ট করা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেন। কিন্তু বাস্তব চিত্র একদমই উল্টো। নগত অর্থ লেনদেন থেকে হাজার গুণ নিরাপদ লেনদেনর মাধ্যম হল এই “অনলাইন পেমেন্ট”।
প্রথমত, এখন পর্যন্ত অনেকেই মনে করেন শুধু মাত্র ক্রেডিট কার্ড দিয়েই অনলাইনে পেমেন্ট করা যায়, কিন্তু বাস্তবতা হল আপনি যেকোন ব্যাংকের ভিসা, মাস্টার কিংবা আমেরিকান একপ্রেস ডেবিট কার্ড দিয়েও অনলাইনে পেমেন্ট করতে পারবেন। জীহ্যাঁ, শুধু মাত্র ক্রেডিট কার্ড নয়, যেকোন ডেবিট কার্ড দিয়েও অনলাইনে পেমেন্ট করা যায় তবে অনলাইনে পেমেন্ট করার আগে অবশ্যই জেনে নিতে হবে আপনার কার্ডটি অনলাইনে লেনদেন করার জন্য একটিভেট আছে কিনা। কিছু কিছু ব্যাংকের কার্ড, অনলাইনে পেমেন্ট করার জন্য আলাদা ভাবে একটিভেট করার প্রয়োজন হয় না। যেমন, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার, এনারবি ব্যাংক ইত্যাদি। এই ব্যাংক গুলোর ইস্যু করা সব ধরনের কার্ড দিয়ে সরাসরি অনলাইনে পেমেন্ট করা যায়। উক্ত ব্যাংক গুলো ছাড়াও অন্যান্য ব্যাংকের কার্ড দিয়েও অনলাইনে লেনদেন করা যায়, তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই ইস্যুয়ার ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে আপনার কার্ডটি অনলাইনে লেনদেন করার জন্য একটিভেট করে নিতে হবে(ইস্যুয়ার ব্যাংক হল সেই ব্যাংক যার ইস্যু করা কার্ডটি আপনি অনলাইনে লেনদেন করার জন্য ব্যবহার করতে যাচ্ছেন)
কোন ওয়েবসাইট থেকে পণ্য কিনে অনলাইনে কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করার ক্ষেত্রে লেনদেনটি সবসময় ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। একটু ভালো ভাবে খেয়াল করলেই দেখবেন আপনি যে পেজটিতে কার্ড নাম্বার টাইপ করছেন সেটি আসলে ব্যাংকেরই একটি পেইজ। মূলত কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করে আপনি যা করছেন সেটা হল, আপনি আপনার নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকেই বিক্রেতাকে পণ্যের মূল্য পরিশোধ করছেন এবং যেহেতু লেনদেনটি সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পাদিত হচ্ছে তাই এটি ১০০ ভাগ নিরাপদ।
বিভিন্ন দোকান কিংবা শোরুমে আমরা যে POS মেশিন দেখি , অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমটিও প্রায় একই ভাবে কাজ করে। পেমেন্ট গেটওয়ে কোম্পানি গুলো মূলত একটা হাব হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট পেইজে সকল ধরনের পেমেন্ট মডিউল একত্রে সংযুক্ত করে যাতে করে একজন ক্রেতা একটি মাত্র পেজের মাধ্যমেই বিভিন্ন ব্যাংক,ইন্টারনেট ব্যাংকিং কিংবা মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে পণ্যের মূল্য পরিশোধ করতে পারে।
অনলাইনে লেনদেন করা যায় এমন কার্ড গুলো সাধারনত 3D Secured হয়, অর্থাৎ প্রতিবার লেনদেন করার সময় OTP (one time password) জেনারেট হয় OTP হল সেই কোড নাম্বার যা কিনা অনলাইনে লেনদেন করার সময় গ্রাহক তার মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে পেয়ে থাকেন এবং শুধু মাত্র OTP দিলেই আপনার লেনদেনটি সম্পাদিত হবে অর্থাৎ শুধু মাত্র আপনি ছাড়া অন্য কেউ কোন ভাবেই আপনার কার্ডটি ব্যবহার করে অনলাইনে লেনদেন করতে পারবে না এমন কি কেউ যদি আপনার কার্ড নাম্বার কিংবা CVP কোডটিও জেনে যায় তারপরও এসএসএমের মাধ্যমে আপনার মোবাইল ফোনে যাওয়া OTP ছাড়া কোন ভাবেই লেনদেন করতে পারবেনা।
একটা বিষয় নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান উদাহারন স্বরূপ বলা যায়, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার এর ভিসা কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করতে গিয়ে দেখলেন যে সিটি/ব্রাক/ইবিএল বা ডাচ বাংলা ব্যাংক পেইজে পেমেন্ট করতে বলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই কারন এই পেইজে যেকোন ব্যাংকের ভিসা কার্ড থেকে পেমেন্ট করা যায়। অনলাইন লেনদেনর সর্বশেষ আপডেট হল ,
বর্তমানে EMI এর মাধ্যমে বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট থেকে পণ্য কেনা যায়। কিন্তু এই ক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে শুধু মাত্র ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেই EMI সুবিধায় পণ্য কেনা যায়। ডেবিট কার্ড এর জন্য EMI সুবিধা প্রযোজ্য নয়।
আরেকটি কথাটি না বললেই না, তা হল প্রোডাক্ট সিলেক্ট করার পর পেমেন্ট গেটওয়ে পেইজ থেকে কার্ড নাম্বার দেয়া, OTP দেয়া ইত্যাদি স্টেপ গুলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করতে হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই টাইম লিমিট হল ২০ মিনিট। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যেই আপনার লেনদেনটি সম্পন্ন করতে হবে নতুবা সেশনটি এক্সপায়ার্ড হয়ে যাবে এবং পুনরায় , সেই স্টেপ গুলো ফলো করতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এমন পরিস্থিতিতে কার্ড হোল্ডার মনে করেন ই-কমার্স সাইটটিতে সমস্যা এবং ই-কমার্স সাইটের ইনচার্জ মনে করেন পেমেন্ট গেটওয়েতে সমস্যা। কিন্তু সমস্যা আসলে কোথাওইনা, কারন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পেমেন্ট প্রসেস কমপ্লিট করে ফেললে এরকম কোন সমস্যার সৃষ্টি হয় না।
শেষ কথা হল, অনলাইন লেনদেন, ব্যাংকের মাধ্যমে করা লেনদেনের মতই নিরাপদ এবং POS মেশিন যেভাবে কাজ করে অনলাইন লেনদেন প্রসেসটা অনেকটা একই ভাবেই কাজ করে। নিশ্চিন্তে অনলাইনে কেনাকাটা করুন এবং ই-কমার্সকে এগিয়ে নিতে সচেতনতা তৈরি করুন।

Sunday, September 4, 2016

সময় থাকতেই ভবিষ্যতের প্রস্তুতি নিন

বর্তমান সময়ের আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু ... বড় কোম্পানি, বিদেশী কোম্পানি, টেলকো কোম্পানি গুলোর ই-কমার্স যাত্রা। যা কিনা রীতিমত সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে। কিন্তু একবারও মাথা ঠাণ্ডা করে ভেবে দেখেছেন বিদেশী কোম্পানি হোক আর প্রথম সারির দেশি কোম্পানি হোক, এসব সাইটে যে সব পণ্য পাওয়া যায় তাদের যোগান দাতা আপনার আমার মত সাধারণ কোন উদ্যোক্তাই । মূলত আমরাই আসলে এসব সাইটের মাধ্যমে ব্যবসা করছি। তবে সত্যি সত্যি ভাবার মত কিছু বিষয় আছে, সেটা হল আজ যার কাছ থেকে আপনি পণ্য এনে অনলাইনে বিক্রি করছেন কাল সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি নিজেই অনলাইন স্টোর খুলে বসে সেটা ছোট, বড় সব কোম্পানি কিংবা ই-কমার্স উদ্যোক্তার জন্যই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। তাই সময় থাকতেই ভবিষ্যতের প্রস্তুতি নিন।



Friday, August 5, 2016

মার্কেটার বনাম স্ট্যাটেজিক মার্কেটার

একজন মার্কেটার ভাবেন, প্রোমোশন করলেই সেলস জেনারেট হবে আর স্ট্যাটেজিক মার্কেটার ভাবেন, সেলস বাড়ানোর জন্য কিভাবে প্রোমোশন প্ল্যান করতে হবে। একজন মার্কেটার মনে করেন, কাস্টোমার ধীরে ধীরে নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড এবং সিস্টেমের প্রতি অভ্যস্ত হয়ে উঠে। একজন স্ট্যাটেজিক মার্কেটার মনে করেন, কাস্টোমার সেই ব্র্যান্ড এবং সিস্টেমকেই প্রাধান্য দেয় যার সেবার ধরণ সময়ের চাহিদাকে পূরণ করে। একজন সফল মার্কেটার মনে করেন,তাকে দেখেই কম্পিটিটর শিখছে । একজন স্ট্যাটেজিক মার্কেটার মনে করেন, গুরুত্ব না দেয়া ছোট্ট একটি ইস্যু থেকেই কম্পিটিটর দুশ্চিন্তার করণ হয়ে যেতে পারে। একজন মার্কেটার সর্বদা পজেটিভ চিন্তা করেন এবং সেই কারণে তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্র অধিক গ্রহণ যোগ্যতা পান। একজন স্ট্যাটেজিক মার্কেটার সর্বদা নেগিটিভ পয়েন্ট থেকে কাজ করেন তাই তার গ্রহণ যোগ্যতা সীমিত।


Thursday, July 28, 2016

ই-কমার্স স্ট্যাটেজি ; বাস্তবতা থেকেই ব্যবসার পরিকল্পনা

গুলশান লেকপার্ক থেকে গুলশান ২ নম্বর পর্যন্ত রিক্সা ভাঁড়া ২০ টাকা কোন কোন সময় ২৫ টাকা । গুলশান লেকপার্কের সামনে সবসময়ই কম বেশি রিক্সা পাওয়া যায়। আপনার সামনে যদি ৫ টি রিক্সা দাঁড়ানো থাকে , তাহলে আপনি কোন রিক্সাটিতে করে গুলশান ২ পর্যন্ত যেতে চাইবেন এবং কেন ?



1.       ৫ টি রিকশার মধ্যে অপেক্ষাকৃত নতুন রিক্সাটি আপনি বেছে নিতে চাইবেন ।
2.       দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য তরুণ রিক্সাচালকে আপনি বেছে নেবেন
3.       নিরাপদে গুলশান ২ পর্যন্ত যাওয়ার জন্য অভিজ্ঞ রিক্সাচালক বেছে নেয়ার চেষ্টা করবেন ।
4.       পরপর ৪ টি রিক্সা ২৫ টাকা ভাঁড়া চাইল এবং সর্বশেষ রিক্সাটি ২০ টাকা ভাঁড়া চাওয়ার তাকেই বেছে নেবেন।
5.       ৫ জন রিক্সাচালকের মধ্যে একজনের আন্তরিক ব্যাবহারে আপনি তাকে বেছে নেবেন।
6.       হটাৎ আপনি খেয়াল করলেন এই ৫ টি রিক্সার মধ্যে ১টি রিক্সায় আপনি এর আগেও কয়াকবার যাতায়াত করেছেন। সুতরাং আপনি সেই রিক্সাটিই বেছে নেবেন ।
      
উল্লেখিত পয়েন্টস ১-৬  তুলনা করা হল একটি ই-কমার্স কোম্পানির সফলতার সাথে।


POINT : 1 & 4
৫ টি রিকশার মধ্যে অপেক্ষাকৃত নতুন রিক্সাটি আপনি বেছে নিতে চাইবেন।
পরপর ৪ টি রিক্সা ২৫ টাকা ভাঁড়া চাইল এবং সর্বশেষ রিক্সাটি ২০ টাকা ভাঁড়া চাওয়ার তাকেই বেছে নেবেন।

৫টি ই-কমার্স সাইট একই মডেলের ব্লুটুথ স্পীকার একই দামে বিক্রি করছে । ক্রেতা কেন আপনার সাইট থেকেই কিনবে? বাড়তি কিছু ভ্যালু অ্যাড করুন , যেমন স্পীকারটি ব্যাগের সাথে ঝুলিয়ে রাখার জন্য একটা হুক অ্যাড করতে পারেন অথবা একটা পাউছ অ্যাড করতে পারেন তাতে করে ক্রেতা এই স্পীকারটি আপনার সাইট থেকেই কিনবে। এমন কি অন্য কোন সাইটে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে পণ্যটি পাওয়া গেলেও ক্রেতা আপনার সাইট থেকেই পণ্যটি কিনতে চাইবে।   

POINT : 6
হটাৎ আপনি খেয়াল করলেন এই ৫ টি রিক্সার মধ্যে ১টি রিক্সায় আপনি এর আগেও কয়াকবার যাতায়াত করেছেন। সুতরাং আপনি সেই রিক্সাটিই বেছে নেবেন।

মূলত এটা হল রিপিট কাস্টমার এবং কাস্টমার লয়ালিটি । ইতিপূর্বেই যে ব্যক্তি আপনার সাইট থেকে ব্লুটুথ স্পীকারটি কিনে সন্তুষ্ট হয়েছেন, নতুন কোন পণ্য কেনার প্রয়োজন হলে তিনি অবশ্যই আপনার সাইটে একবার হলেও ভিজিট করবেন এবং চেষ্টা করবেন আপনার সাইট থেকেই পণ্যটি কেনার জন্য।   


POINT :2,3 & 5
দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য তরুণ রিক্সাচালকে আপনি বেছে নেবেন।
নিরাপদে গুলশান ২ পর্যন্ত যাওয়ার জন্য অভিজ্ঞ রিক্সাচালক বেছে নেয়ার চেষ্টা করবেন ।
৫ জন রিক্সাচালকের মধ্যে একজনের আন্তরিক ব্যাবহারে আপনি তাকে বেছে নিতে পারেন।

আপনার সাইটের নিয়মিত ক্রেতাদের জন্য আপনার সাইটি একটি নিরাপাদ এবং ঝামেলাহীন অনলাইন কেনাকাটার স্থান, দীর্ঘদিন অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনার অভিজ্ঞতা এবং ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করতে পারায় আপনি সবার থেকে এগিয়ে থাকবেন এবং আপনার আন্তরিক কাস্টমার সাপোর্টের কারণে ক্রেতার প্রথম পছন্দই হবে আপনার ইকমার্স সাইটটি ।

-----------------ধন্যবাদ --------------------



Tuesday, July 5, 2016

প্রয়োজনের তাগিদেই ই-কমার্সে প্রবেশ করবে সাধারণ ক্রেতার একটি বড় অংশ, আপনি প্রস্তুত তো ?

সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্ব জুড়ে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনা গুলোর বেশ কিছুটা প্রভাব পড়বে আমাদের ব্যবসায়িক খাতেও। বিশেষ করে নিরাপত্তা এবং পারিপার্শ্বিক অস্থিরতার কারণে আগের তুলনায় অনেক বেশি মানুষ এখন অনলাইন থেকে কেনাকাটা করবেন বলে আমি মনে করি। অর্থাৎ অনলাইনে কেনাকাটার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং সম্ভবত ঈদের কিছুটা পরেই আমরা এরকম একটা চিত্র দেখতে পাব। তাই, সরাসরি কিংবা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যাবহার করে যারা অনলাইনে পণ্য বিক্রি করছেন তাদের প্রতি অনুরোধ অনুগ্রহ করে মানসম্মত পণ্য সঠিক দামে সরবরহ করুন, আপনার একটু সচেতনা যেমন হাজারো মানুষকে অনলাইন কেনাকাটায় উৎসাহিত করতে পারে ঠিক তেমনি আপনার উদাসীনতা হাজারো মানুষকে অনলাইন কেনাকাটা বিমুখও করতে পারে। 

Sunday, July 3, 2016

সবার জন্য ই-কমার্স, যেকোন পেশার মানুষই হতে পারেন একজন সফল ই-কমার্স উদ্যোক্তা। শুরুর আগেই অবশ্যই জেনে বুঝে তারপর শুরু করুন

খুবই সাধারণ কিছু নির্দেশনা শেয়ার করছি , আশা করি অনেকেরই কাজে লাগবে।

প্রথম ধাপঃ প্রস্তুতি
প্রথমেই একটি সমস্যার কথা ভাবুন, যার সমাধান হবে আপনার ই- কমার্স প্রকল্পের মাধ্যমে।
মনে রাখবেন, আপনি কিধরণের পণ্য বা সেবা আপনার সাইটের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে চাইছেন তার থেকেও বেশী গুরুত্বপূর্ণ হল এই পণ্য বা সেবা গ্রহণ করার জন্য মার্কেটে কি পরিমাণ চাহিদা আছে সেটা যাছাই করা ।পণ্য বা সেবার সর্বোচ্চ গুণগত মান নিশ্চিত করুন, মার্কেটিং এর ভাষায় আমরা একে বলি “GREAT PRODUCT”




দ্বিতীয় ধাপঃ মার্কেটিং প্ল্যান
কখনই দীর্ঘ মেয়াদী মার্কেটিং প্ল্যান তৈরি করবেন না, মার্কেটিং স্ট্যাটেজি প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তন হচ্ছে, একজন থেকে আরেকজন ভালো এবং কার্যকরী প্ল্যান করছেন। আপনি বা আমি কেউই জানিনা ৬ মাস পর মার্কেটের সিনারিয় কি হবে সুতরাং আগে পরিস্থিতি বুঝুন তারপর প্ল্যান করুন। অবশ্যই মনে রাখবেন, আপনি ২ মাস চিন্তা করে যে প্ল্যান বের করবেন আপনার কম্পিটিটর রাতারাতি সেটা কপিপেস্ট করে ফেলবে। 



তৃতীয় ধাপঃ এডভান্স মার্কেটিং এন্ড স্ট্যাটেজি
এডভান্স মার্কেটিং এন্ড স্ট্যাটেজি আপনার সেলস এনশিয়র করবে । মার্কেটিং প্ল্যান (দ্বিতীয় ধাপ) এ আপনি ঠিক করেছেন আপনার পণ্য বা সেবার মার্কেটিং পলিসি কিন্তু এডভান্স মার্কেটিং এন্ড স্ট্যাটেজি পার্ট এ আপনাকে ঠিক করতে হবে কীভাবে পণ্যের মার্কেটিং করলে আপনার কাঙ্ক্ষিত সেলস জেনারেট হবে । যেমন, আপনার পণ্য বা সেবার সম্ভাব্য ভোক্তা যদি হয় চাকরিজীবী এবং যারা মাসে ৩০-৪০ টাকা বেতন পায় । সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমেই খুঁজে বের করতে হবে কোন প্রতিষ্ঠানে গুলোর স্যালারী রেঞ্জ ৩০-৪০ হাজারের মধ্যে এবং আপনার মার্কেটিং প্ল্যানের মাধ্যমে তাদের রিচ করতে হলে কোন পদ্ধিতিটা সবচেয়ে কার্যকারী হবে।  



চতুর্থ ধাপঃ ব্রান্ডিং 
ব্র্যান্ড কখনও সেলস এনশিয়র করে না, ব্র্যান্ড মূলত সম্ভাব্য ক্রেতাকে আপনার পণ্য বা সেবা ক্রয়ে উদ্বুদ্ধ করে। ব্র্যান্ডিং হল একমাত্র হাতিয়ার যা কাস্টোমার লয়ালিটি তৈরি করতে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে থাকে । ব্র্যান্ডিং শুধুমাত্র তখনই প্রয়োজন , যদি কিনা আপনার দীর্ঘমেয়াদী ব্যাবসা করার পরিকল্পনা থেকে থাকে। অনেকেই সেলস, মার্কেটিং আর ব্র্যান্ডিং ব্যাপার গুলো এক করে ফেলেন কিন্তু আসলে ব্যাপারটা একদমই ভিন্ন। সেলস করার জন্য মার্কেটিং প্রয়োজন আর কাস্টোমার লয়ালিটি অর্জন করার জন্য ব্রন্ডিং প্রয়োজন।



আর ই-কমার্সে একটা কমন এবং ইমোশনাল ভুল সবাই করে, সেটা হল “আমার সাইটই সেরা” মনে প্রানে সবাই এমনটাই ভেবেন , কিন্তু বাস্তবতা হল আপনার ইমোশন কিন্তু কাস্টোমার বুঝবে না, তারা যা বুঝবে সেতা হল, আপনার সাইট থেকে তারা উপকৃত হচ্ছে কিনা। সুতরাং ২০ জনের সাথে আগে কথা বলুন মতামত নিন, তারপর কাজ শুরু করুন আর সবসময় মাথায় রাখুন ব্যাবসা করতে হলে ক্রেতার চাহিদাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে এমন কি নিজের ইচ্ছার থেকেও অনেক বেশি।  

Friday, April 22, 2016

ই-কমার্স, বাংলাদশ এবং অনালাইন কেনাকাটা, পর্বঃ ১

ক্লিকবিডি'র কাছে আমরা চির কৃতজ্ঞ , কারণ মুন্সিজিডটকম এর পর এই দেশে আনুষ্ঠানিক ভাবে ই-কমার্স নিয়ে কাজ করার মত চ্যালেঞ্জটা মূলত তারাই শুরু করেছিল। 



ক্লিক বিডি'র শুরুটা সম্ভবত ২০০৫ এর দিকে ছিল, ২০০৯ থেকে দারুণ ব্যাবসা সফল হলেও ২০১১ তে এসে কিছুটা হোঁচট খায় সাইটটি , পুরানো থিম পাল্টে নতুন থিম আর নতুন প্রাইস প্ল্যানটি তখনকার দিনে সময় উপযোগী ছিলনা। একটা ফিচার অ্যাড পোস্ট দিতে যেখানে মাসে ৩০০ টাকা লাগত হটাৎ করেই সেটা হয়ে যার ৫০টাকা/দিন। ক্রমাগত ভিজিটর হারাতে থাকে সাইটটি। 

এদিকে গ্রামীণফনের সেলবাজার ততদিনে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।



 অদ্ভুত হলেও সত্য যে, আমি লক্ষ্য করেছিলাম ক্লিকবিডি'র ভিজিটর যে হারে কমছে সেলবাজারের ভিজিটর ঠিক সেই হারেই বাড়ছিল। এমন দুর্যোগের সময়ও ক্লিকবিডি কিন্তু মোটেও ভেঙ্গে পরেনি বরং তারা নতুন এক স্ট্যাটেজি গ্রহণ করে আর তা হলো "ই-স্টোর কনসেপ্ট" । আজকের দিনে যারা ব্যাবসা সফল ই-কমার্স সাইট গুলো পরিচালনা করছেন তারা অনেকেই পরিচিতি পেয়েছিলেন ক্লিকবিডির "ই-স্টোর কনসেপ্ট" থেকে। সেলবাজার খুবই অল্প সময়ে মার্কেটে পরিচিতি পেয়ে যায়, এবং সেলবাজারের কিছু বিশেষ ফিচার ছিল যেমন, কেউ একাউণ্ট খুললেই স্বয়ংক্রিয় ভাবে তার একটা নিজস্ব অনলাইন স্টোর (ই- স্টোর) তৈরি হয়ে যেত (cellbazaar.com/01711******) এবং AD Update নামে একটা ফিচার ছিল যেখানে ক্লিক করলে অ্যাডটি সবার প্রথমে চলে আসতো। আশ্চর্য জনক ভাবে সত্য যে সেলবাজারে প্রতি সেকেন্ডে একাধিক অ্যাড পোস্ট হত। সেলবাজারে যারা কিনা খুব সক্রিয় ছিল তারাই এখন বড় বড় ই-কমার্স সাইটের স্বত্বাধিকারী। সেলবাজারের সবচেয়ে বড় সুফল ভোগ করে ঢাকার বিভিন্ন মার্কেট এবং শপিং মলে অবস্থিত প্রযুক্তি পণ্য বিক্রেতাগণ । আজকে StarTech, Zettabyte এর মত নাম গুলো সবার মুখে মুখে পরিচিত হবার পেছনে একটা বিশাল অবদান এই সেলবাজার আর ক্লিকবিডির। 



সেই সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে সাধারণ মানুষের খুব একটা ধারণা ছিলনা, ই-মেইল মার্কেটিং কিংবা এসএমএস মার্কেটিংও খুব বেশি জনপ্রিয় ছিলনা, তাই পণ্য কিংবা সেবা যাই হোক না কেন মার্কেটিং এর জন্য সবাই ক্লিকবিডি এবং সেলবাজারের মত অনলাইন প্ল্যাটফর্মই ব্যবহার করত। ক্লিকবিডির ক্লিক কার্ড ফিচারটি 



সম্ভবত বাংলাদেশে প্রথম বারের মত অনলাইনে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটা করার সুযোগ সৃষ্টি করে, কিন্তু ২০১১ সাল ,কার্ড ব্যবহার করে অনলাইন থেকে পণ্য কেনাকাটা করার মত বাপারাটা একজন সাধারণ ক্রেতা খুব একটা সহজ ভাবে মেনে নিতে পারেনি।

চলবে ...