Sunday, July 3, 2016

সবার জন্য ই-কমার্স, যেকোন পেশার মানুষই হতে পারেন একজন সফল ই-কমার্স উদ্যোক্তা। শুরুর আগেই অবশ্যই জেনে বুঝে তারপর শুরু করুন

খুবই সাধারণ কিছু নির্দেশনা শেয়ার করছি , আশা করি অনেকেরই কাজে লাগবে।

প্রথম ধাপঃ প্রস্তুতি
প্রথমেই একটি সমস্যার কথা ভাবুন, যার সমাধান হবে আপনার ই- কমার্স প্রকল্পের মাধ্যমে।
মনে রাখবেন, আপনি কিধরণের পণ্য বা সেবা আপনার সাইটের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে চাইছেন তার থেকেও বেশী গুরুত্বপূর্ণ হল এই পণ্য বা সেবা গ্রহণ করার জন্য মার্কেটে কি পরিমাণ চাহিদা আছে সেটা যাছাই করা ।পণ্য বা সেবার সর্বোচ্চ গুণগত মান নিশ্চিত করুন, মার্কেটিং এর ভাষায় আমরা একে বলি “GREAT PRODUCT”




দ্বিতীয় ধাপঃ মার্কেটিং প্ল্যান
কখনই দীর্ঘ মেয়াদী মার্কেটিং প্ল্যান তৈরি করবেন না, মার্কেটিং স্ট্যাটেজি প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তন হচ্ছে, একজন থেকে আরেকজন ভালো এবং কার্যকরী প্ল্যান করছেন। আপনি বা আমি কেউই জানিনা ৬ মাস পর মার্কেটের সিনারিয় কি হবে সুতরাং আগে পরিস্থিতি বুঝুন তারপর প্ল্যান করুন। অবশ্যই মনে রাখবেন, আপনি ২ মাস চিন্তা করে যে প্ল্যান বের করবেন আপনার কম্পিটিটর রাতারাতি সেটা কপিপেস্ট করে ফেলবে। 



তৃতীয় ধাপঃ এডভান্স মার্কেটিং এন্ড স্ট্যাটেজি
এডভান্স মার্কেটিং এন্ড স্ট্যাটেজি আপনার সেলস এনশিয়র করবে । মার্কেটিং প্ল্যান (দ্বিতীয় ধাপ) এ আপনি ঠিক করেছেন আপনার পণ্য বা সেবার মার্কেটিং পলিসি কিন্তু এডভান্স মার্কেটিং এন্ড স্ট্যাটেজি পার্ট এ আপনাকে ঠিক করতে হবে কীভাবে পণ্যের মার্কেটিং করলে আপনার কাঙ্ক্ষিত সেলস জেনারেট হবে । যেমন, আপনার পণ্য বা সেবার সম্ভাব্য ভোক্তা যদি হয় চাকরিজীবী এবং যারা মাসে ৩০-৪০ টাকা বেতন পায় । সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমেই খুঁজে বের করতে হবে কোন প্রতিষ্ঠানে গুলোর স্যালারী রেঞ্জ ৩০-৪০ হাজারের মধ্যে এবং আপনার মার্কেটিং প্ল্যানের মাধ্যমে তাদের রিচ করতে হলে কোন পদ্ধিতিটা সবচেয়ে কার্যকারী হবে।  



চতুর্থ ধাপঃ ব্রান্ডিং 
ব্র্যান্ড কখনও সেলস এনশিয়র করে না, ব্র্যান্ড মূলত সম্ভাব্য ক্রেতাকে আপনার পণ্য বা সেবা ক্রয়ে উদ্বুদ্ধ করে। ব্র্যান্ডিং হল একমাত্র হাতিয়ার যা কাস্টোমার লয়ালিটি তৈরি করতে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে থাকে । ব্র্যান্ডিং শুধুমাত্র তখনই প্রয়োজন , যদি কিনা আপনার দীর্ঘমেয়াদী ব্যাবসা করার পরিকল্পনা থেকে থাকে। অনেকেই সেলস, মার্কেটিং আর ব্র্যান্ডিং ব্যাপার গুলো এক করে ফেলেন কিন্তু আসলে ব্যাপারটা একদমই ভিন্ন। সেলস করার জন্য মার্কেটিং প্রয়োজন আর কাস্টোমার লয়ালিটি অর্জন করার জন্য ব্রন্ডিং প্রয়োজন।



আর ই-কমার্সে একটা কমন এবং ইমোশনাল ভুল সবাই করে, সেটা হল “আমার সাইটই সেরা” মনে প্রানে সবাই এমনটাই ভেবেন , কিন্তু বাস্তবতা হল আপনার ইমোশন কিন্তু কাস্টোমার বুঝবে না, তারা যা বুঝবে সেতা হল, আপনার সাইট থেকে তারা উপকৃত হচ্ছে কিনা। সুতরাং ২০ জনের সাথে আগে কথা বলুন মতামত নিন, তারপর কাজ শুরু করুন আর সবসময় মাথায় রাখুন ব্যাবসা করতে হলে ক্রেতার চাহিদাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে এমন কি নিজের ইচ্ছার থেকেও অনেক বেশি।  

No comments:

Post a Comment